সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
চীনের বিরুদ্ধে শিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পুরনো। নতুন অভিযোগ, মসজিদের জায়গায় গণশৌচাগার তৈরি করেছে চীন প্রশাসন।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানতেই এসব করা হয়েছে। এটি উইঘুর জাতিগোষ্ঠী নিশ্চিহ্নের পরিকল্পনার আরেকটি প্রমাণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ২০১৬ সালে মসজিদ সংস্কারের নামে মুসলমানদের গণজমায়েতে নামাজ পড়ার স্থানগুলো নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়। অভিযোগ, ‘তোকুল’ মসজিদের জায়গায় শৌচাগার নির্মাণের কয়েকদিন আগে ওই শহরে থাকা তিনটি মসজিদের মধ্যে দুটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, চীনে বসবাসকারী উইঘুরদের পাঁচ হাজারের বেশি মসজিদ ভেঙে দেয়া হয়েছে।
আতুশ শহরের সুনতাঘ গ্রামের নেইবারহুড কমিটির প্রধান রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৮ সালে তোকুল মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পরে এখানে ওয়াশরুম, গেস্টরুম এবং শৌচারগার তৈরি করে উইঘুরবিরোধী হোন গোষ্ঠীর নেতারা।
চীন সরকারের ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি রেডিও ফ্রি এশিয়াকে সাক্ষতকার দেয়া উইঘুর সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, এখন এটি একটি গণশৌচাগার। তবে উদ্বোধন করা হয়নি। নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
গত বছর ওয়াশিংটন ভিত্তিক উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজারের মত মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে চীনা প্রশাসন।
এছাড়া উইঘুর মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করার অগিযোগ উঠে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে। তবে চীন সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। ডিএনএ, টাইমস নাউ